জিটিএ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। তবে, এখনই নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল না হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে গরমের ছুটির পর।
২৭মে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গেজেট নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ৩ জুন। মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে ৪ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ জুন। ২৬ জুন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। এরপরেই সোমবার নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়।
২০১৭ সাল পাহাড়ে গোলমালের পর থেকে জিটিএ-র কাজ থমকে ছিল। তখন জিটিএ-র চেয়ারম্যান ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। ওই সময়ে দীর্ঘদিন বিমল ফেরার ছিলেন। এক পুলিস অফিসারের গুলিতে খুন হওয়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিমল। পরে জিটিএ ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে বিজেপির।
পাহাড়ে নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয় গত বিধানসভা ভোটের সময়। বিমল গুরুং পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বিজেপি গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে পাহাড়বাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হতেই বেঁকে বসেন বিমল গুরুং। একই সঙ্গে বিজেপি ও জিএনএলএফ ভোটে লড়বে না ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে!
Be the first to comment