রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নানের জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর পুণ্যার্থী। ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে গিয়ে বুধবার গভীর রাতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছেন মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ। এদিন সন্ধ্যায় ডিআইজি বলেন, ‘রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২৫ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জনের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।’
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে কোটি কোটি মানুষের ভিড় হয়েছিল প্রয়াগরাজে। মঙ্গলবার গভীর রাতে গঙ্গা, যমুনা, এবং সরস্বতী- তিন নদীর সঙ্গমস্থল বা ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করতে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ ‘অমৃত স্নান’ ঘিরে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। ঘটনার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, আধাসেনা এবং এনএসজি নামানো হয়। এই ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য অমৃত স্নান বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা পুনরায় চালু করা হয়।
বুধবার সকালেই এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও বারবার ফোনে কথা বলেন তিনি। সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। ঘটনার পর থেকেই হতাহতের বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। সরকারির তরফেও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি প্রথমে। তবে অবশেষে তা জানানো হল। তবে যোগী সরকারের তরফে এর আগে দাবি করা হয়েছিল, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর যোগী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী শিবিরের সকলেই।
Be the first to comment