রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- বাংলাদেশের জেলে বন্দি ছিলেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। ফিরে এসেছেন তাঁরা। সোমবার গঙ্গাসাগরের সভায় তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ (বাংলাদেশে) মারধর করা হয়েছে ভারতের মৎস্যজীবীদের।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫। প্রস্তুতি তুঙ্গে। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও গঙ্গাসাগরে মেলার আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে গিয়েই একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তারমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। মাছ ধরতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে আটকে ছিলেন এ রাজ্যের বহু মৎসজীবী, এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশে গিয়ে রাজ্যের মৎসজীবীদের পরিস্থিতির শিকার হওয়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সোমবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে মমতা বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে দেখলাম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সবাই নয়, আমি বললাম খুঁড়িয়ে হাঁটছেন কেন? তাঁরা বলতে চাননি। জানতে পারলাম তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের নিয়ে গিয়ে হাত দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের মোটা লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। কয়েকজনের শরীরে কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট। জামাকাপড় পরে আছে বলে বোঝা যাচ্ছে না। তার কাঁদছিল। জিজ্ঞাসা করছিলাম বলছিল। আমি ডিএমকে বলব তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। ওনাদের একটা ট্রলার এখানে চলে আসে। জলের মধ্যে সীমানা ঠিক করতে পারে না। কিন্তু আমরা বারন করব আপনারা কখনও আমাদের সীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ না উঠলে উঠবে। জীবন থাকলে অনেক মাছ পাবেন। এই যে দুমাস জেলে ছিলেন, পরিবার কষ্ট হয়নি।
মাস খানেক আগে বাংলাদেশি ট্রলার আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়ে। তারা অসুস্থ ছিল, আমরা চিকিৎসা করাই। যত্নে রেখেছিলাম। তাদের আমরা ফেরতও দিয়েছিলাম।
মমতা বলেন, দুই দেশই মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাক এটা আমরা চাই। ওদের ট্রলার আটকে ছিল , অসুস্থ ছিল তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা করে ভালো করে রেখে দেশের বদনাম যাতে না হয়, বাংলার কোনও বদনাম যাতে না হয়, ভারত সরকারকেও জানিয়েছিলাম। মৎস্যজীবীরা কেমন আছেন প্রতিদিন খোঁজ রাখতাম। বাংলাদেশের যারা ছিল হ্যান্ডওভার করে দিই। ইন্ডিয়ার যারা ছিল তাদের হ্যান্ডওভার হয়।
এদিন তিনি আরও বলেন, আমরা সমুদ্রসাথী প্রকল্প তৈরি করেছি। দু লক্ষ মৎস্যজীবী এতে উপকৃত হবেন। মৎস্যজীবী বন্ধু প্রকল্প করেছি। বিশেষ করে ১০০০ টাকা করে ৬০ বছরের বেশি মৎস্যজীবীদের পেনশন দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন হাঁটতে পারছে না, মারধর করেছে, তাদেরও এই প্রকল্পে নেওয়া হবে। জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে পাঁচ লাখের উপর পুকুর করা হয়েছে।
Be the first to comment