রোজদিন ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে সোনালি বিবি-কে ফিরিয়ে আনা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন টিএমসি-র শীর্ষ নেতা অভিষেক ব্যানার্জি। কেন্দ্রের শাসক বিজেপিকে তোপ দেগে বললেন, এখানে বিদেশাতঙ্ক (xenophobia) চলবে না। ২০২৬ আসুক, এখানকার মানুষ বাংলা, বাঙালি বিরোধী জমিদারদের মুখের মত জবাব দেবেন।
আজ উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সোনালি বিবি ও তাঁর পরিবার সহ ছয় জনকে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরকে বলেছে। যা নিয়ে রীতিমত উল্লসিত শাসক শিবির।
তৃণমূল ভবনে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে ন্যায় বিচার মিলেছে।
সাং সদ অভিষেক ব্যানার্জি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, আজ আইনের লম্বা হাতে বাংলা বিরোধীরা ধরা পড়লো। রাজ্যের মানুষ বিজেপির বিদেশাতঙ্ক, হেনস্থা, বিভাজনের রাজনীতি বরদাস্ত করবেন না। তাঁর দল আদালতে, প্রকাশ্য বিতর্কে, নির্বাচনে এই সবের জবাব দেবে। যারা এই সব করে ভয় দেখাচ্ছে, তারা জবাব পাবে। নিজেদের মর্যাদা, অধিকার রক্ষায় রাজ্যবাসী সদা সচেতন বলে তিনি মনে করেন।
শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রর রায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, দিল্লির অশুভ শক্তি জোর করে এখানকার নাগরিকদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। তাঁরা খুশি যে দেবীপক্ষে দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে সোনালি বিবিরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সোনার বাংলা করার কথা বলছেন, কিন্তু মহিলাদের সম্মান না দিয়ে সোনার বাংলা গড়া যায় না। আজ উচ্চ আদালতে র রায়ের মধ্যে দিয়ে দেবী অসুর বধ করেছেন বলে শশী পাঁজা মন্তব্য করেন।
তৃণমূল কংগ্রেস এর মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের কিভাবে বাংলাদেশী বলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বহুদিন ধরেই তা বলে আসছেন। আজ উচ্চ আদালতের রায় সরাসরি প্রমাণ করে দিল, এই অভিযোগ কতটা সত্যি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য তিনি দাবি করেন। এই রায় বিজেপির ভয়ংকর, অসুরসুলভ, বাংলা ও বাঙালি বিরোধী, নারী বিরোধী নীতিকে প্রমাণ করে দিল বলে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন। এর জন্য বিজেপিকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানান।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পৃথক ভাবে বিজেপি ও কেন্দ্রর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে সর্বনাশের খেলা খেলছে বিজেপি। দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে বাংলার জাতি সত্বাকে নষ্ট করছে। আজ আদালত ও বুঝেছে এই সব বাংলা বিরোধী, বাঙালি বিরোধী কাজ হচ্ছে। প্রসঙ্গত দিল্লিতে রুজির জন্য যাওয়া বীরভূমের দরিদ্র পরিবারের পক্ষে উচ্চ আদালতের এই রায়কে সব মহলই স্বাগত জানিয়েছেন।

Be the first to comment