প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের অপসারণের সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক : বুধবার লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। ‘জম্মু-কাশ্মীর রিঅর্গানাইজ়েশন বিল ২০২৫’ ছাড়া তালিকায় থাকা আরও একটি বিল নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। এই বিলের বিষয়বস্তু সামনে আসতেই তুমুল শোরগোল। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বিরোধী শিবির। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত এই বিলের তুমুল সমালোচনা করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে জনগণের রায়কে বিকৃত করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অভিযোগ অভিষেকের। তাঁরই সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাকেত গোখলে, মহুয়া মৈত্ররা।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে (EC) অপব্যবহার করে SIR কার্যকর করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে, সরকার এখন আরও একটি ‘E’— অর্থাৎ ED-কে সক্রিয় করে এমন একটা আইন আনতে চাইছে, যাতে বিরোধী নেতাদের নিশানা করা যায়। এই আইনের সাহায্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, জনগণের রায়কে বিকৃত করে রাজ্য সরকারগুলিকে ভেঙে ফেলা যায়।’
তিনি আরোও লেখেন, ‘এই স্বৈরাচারী মানসিকতার এবং এই ভয়ঙ্কর সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভারতের সরকার হিসেবে জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন না করে এই চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবে পালনে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। সংবিধানসম্মত দায়িত্ব পালনের বদলে এই সরকার কেবলমাত্র ক্ষমতা, সম্পদ ও নিয়ন্ত্রণ দখল করতে ব্যস্ত।’
তিনি লেখেন, ‘বিরোধী দলগুলির সমর্থন এবং জাতীয় ঐক্য থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (PoJK) পুনর্দখল করার সাহস দেখাতে পারেনি। তারা শুধু ফাঁকা বুলি কপচায়, কিন্তু যখন ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সীমান্ত সুরক্ষা এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রসঙ্গ আসে, তখন প্রকৃত সদিচ্ছা প্রকাশ করে না।’ তাঁর মতে, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে দেশের সংবিধান বিক্রি করে দেওয়া।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*