পরপর দু’দিনে কাশ্মীরে নিকেশ অন্তত ৬ জঙ্গি

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রথমে মঙ্গলবার, পরে বৃহস্পতিবার। পরপর দু’দিনে কাশ্মীরে নিকেশ অন্তত ৬ জঙ্গি। আর এই জঙ্গিদের নিকেশের ঘটনাই পহেলগাঁও তদন্তে ব্রেকথ্রু মেলার আশা জাগিয়েছে। বৃহস্পতিবার ত্রালে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় ৩ জঙ্গি। এরা হল আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি ও ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট। এরা ৩ জনই স্থানীয়। এবং সবাই জৈশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার অবন্তীপোরার নাদের ত্রাল এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালীনই সন্ত্রাসীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। সেখানেই গুলি বিনিময়ে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
মঙ্গলবারও শোপিয়ানে শহিত কুট্টে ও আদনান সফিদার সহ ৩ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতের মধ্যে লস্কর এ তৈবা ও টিআরএফের কমান্ডারও রয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনগুলি থেকে কিছু সূত্র পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে এই সন্ত্রাসবাদীদের কোনও যোগ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে উদ্ধার হওয়া ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহত সন্ত্রাস জুনায়েদ ভাটের ফোন থেকেই স্থানীয় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তানি সন্ত্রাসী হাশিম মুসা, আলি ভাই এবং অনন্তনাগের বাসিন্দা আদিল হুসেন থোকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পায়। এই তিনজন পহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই তিনজনের সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত কুট্টেকে একাধিক হামলার সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৮ এপ্রিল শোপিয়ানের ড্যানিশ রিসোর্টে গুলি চালানোর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত, যেখানে দুই জার্মান পর্যটক এবং তাদের ড্রাইভার আহত হন। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়ে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটককে হত্যা করে, যার মধ্যে একজন নৌ কর্মকর্তাও ছিলেন। এই ঘটনারপর কুট্টে এবং শফিদারের পারিবারিক বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*