রোজদিন ডেস্ক : চাকরি হারানোর আতংকে সদ্যজাত চতুর্থ সন্তান কে জঙ্গলে পাথর চাপা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষক দম্পতি। ভয়াবহ নজিরবিহীন এই ঘটনা বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ছিমদোয়ারায়। পুলিশ দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, গত রবিবার রাতে এই খবর সামনে আসে । নন্দনওয়াদি গ্রামে জনৈক পথচারী রোড ঘাট এর জঙ্গলে পাহাড়ের কাছে এক সদ্যজাত কে দেখতে পান। বিস্মিত ও আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা জানতে জোর অনুসন্ধান চলে। খোঁজ মেলে প্রাথমিক শিক্ষক দম্পতি বাবলু দন্দোলিয়া ও তাঁর স্ত্রী রাজকুমারীর। ২০০৯ সাল থেকে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ান তাঁরা। তাঁদের ৮, ৬ ও ৪ বছর বয়েসি আরও তিনটি সন্তান আছে। সদ্যজাত চতুর্থ সন্তান হওয়ার পর তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে বা চাকরি থাকবে কিনা এই আতঙ্কে তিন দিনের শিশুকে তাঁরা জঙ্গলে পাথর চাপা দিয়ে রেখে আসার কথা স্বীকার করেন। এই নজিরবিহীন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে মামলা দায়ের করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সন্তান সংখ্যা দুই এ বেঁধে দেওয়া আছে। এই সব রাজ্যে দুই এর বেশি সন্তান হলে সরকারি চাকরি, সরকারি সুযোগ সুবিধায় কোপ পড়ে। দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে র লক্ষ্যে শীর্ষ আদালত ও সন্তান সংখ্যা দুই এর বেশি না হওয়ার পক্ষে। এমন কি রাজস্থানের একটি মামলায় দুই এর বেশি সন্তান থাকায় জনৈক ব্যক্তিকে সরকারি চাকরির অনুপযুক্ত হিসাবে রায় ও শীর্ষ আদালত বহাল রেখেছে। অসম ও মহারাষ্ট্র এ দুই এর বেশি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরির অনুপযুক্ত বিবেচিত হন। মধ্য প্রদেশ, তেলেংগানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও ওড়িশাতে ও সন্তান সংখ্যা দুই এর মধ্যে রাখার নির্দেশ আছে।
মধ্য প্রদেশের এই দম্পতির আরও তিন সন্তান থাকায় চতুর্থ সন্তান হলে কি হবে তা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন। সেই চিন্তায় তাঁরা এই অমানবিক পন্থা নেন বলে ওয়াকেবহাল মহল মনে করেন।
ছবি : প্রতীকী

Be the first to comment