আগামী ২ মাস কলকাতার একাংশে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতার নতুন সিপির

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক:-

আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের নানান প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবীতে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর জেরে নানান জায়গায় হচ্ছে জমায়েত, রাত দখলের কর্মসূচি। তবে পরবর্তী ২ মাস শহরে বড় কোনও জমায়েত করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিলেন নতুন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
আর জি কর কাণ্ডের জেরে লাগাতার প্রতিবাদ চলছে শহরে। তবে সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই বছরের দুর্গাপুজো যে অন্যান্য বারের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। নানান মণ্ডপে মণ্ডপে আর জি কর কাণ্ডের জন্য বিচারের স্লোগান উঠতে পারে। তা নিয়ে পুলিশের তরফে প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুলিশ। পুলিশ কমিশনারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ২ মাস কলকাতার একটা অংশে কোনও বড় জমায়েত করা যাবে না। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা মেনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ, এমনটাই খবর। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
দুর্গাপুজোর সময় প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল, বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজোর একাধিক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। অনেক উদ্যোক্তাদেরই কথায়, পুজোর মণ্ডপে উঠতে পারে স্লোগান। যাতে পুজোর সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রীট, ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় আগামী ২ মাস ৫-৬ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে যদি কারোর হাতে লাঠি বা কোনও অস্ত্র দেখা যায়, তাহলেও তাঁর বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
গতকাল, বুধবারের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “প্রত্যেক বছর পুজো যে রকম ভালো কাটে কলকাতায় এবার সে রকমই যাতে কাটে সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখছি। আশা করছি সবারই সহযোগিতা আমরা পাবো। আমাদের তরফ থেকে সমস্ত রকম প্রস্তুতি রয়েছে। সমস্ত রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রোখার জন্য পুলিশ প্রস্তুত”।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*