রোজদিন ডেস্ক : অসমের অকাল প্রয়াত জনপ্রিয় গায়ক জুবিন (Jubin) গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও অনুষ্ঠান সংগঠক শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। কামরূপের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতাপ্রাপ্ত (সিজেএম) তাঁদের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আজই দিল্লি থেকে তাঁদের সরাসরি অসমে নিয়ে এসে সি জে এমের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রের স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে আচমকা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জুবিন গর্গ। মাত্র ৫২ বছর বয়েসে বিদেশে জনপ্রিয় গায়ক এর মৃত্যুর খবরে অসমে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এই অকাল মৃত্যুর নেপথ্যে কোন রহস্য আছে কিনা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
মূলত সিঙ্গাপুরে উত্তর পূর্ব সংগীত সম্মেলনের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহান্ত ও জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা তদন্তের আতস কাঁচের তলায় আছেন।
তাঁদের গ্রেফতারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত জুবিনের শোকার্ত স্ত্রী সাইকিয়া গর্গ। আজই স্বামীর মৃত্যুর ১৩ দিন পরের পারলৌকিক ক্রিয়া পালিত হচ্ছে।
সূত্রের খবর, গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা দেশে ফিরলেও তাঁর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ। বারবার তিনি দিল্লি ও রাজস্থানে যাতায়াত করছিলেন। পুলিশ তাঁকে গুরুগ্রামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে। সিঙ্গাপুরের সংগীতানুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহান্ত আজ ওই দেশ থেকে ফিরতেই দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনকে সরাসরি অসমে নিয়ে এসে সিজেএমের বাসভবনে নিয়ে যায় পুলিশ। অসমে পুজোর ছুটি থাকায় জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের ওখানে নেওয়া হয়। বিচারপতি তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রয়াত জুবিন গর্গের মৃত্যুর পর আজ ১৩ দিনের ক্রিয়া পালিত হচ্ছে। সমগ্র অসম এখন ও শোকস্তব্ধ। সিংগাপুরে ঠিক কি হয়েছিল, কোন পরিস্থিতিতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি, ধৃত দুজনের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
এই অকাল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা অসম। সারা দেশও।

Be the first to comment