রোজদিন ডেস্ক : মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) কফ সিরাপ কান্ডে ধৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওষুধ সংস্থার থেকে কমিশন নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই রাজ্যের এক জেলা আদালত কফ সিরাপ কান্ডে ধৃত চিকিৎসক প্রবীণ সোনির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতে পুলিশের অভিযোগ ছিল, ধৃত চিকিৎসক ওষুধ সংস্থার কাছে ১০% হারে কমিশন নিতেন। এমনকি এই সিরাপ খেয়ে গত ২৯ আগস্ট একটি শিশুর মৃত্যুর পরও তিনি ব্যবস্থাপত্রে এই ওষুধ লেখেন। গত ২৪ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর অবধি পাঁচ বছরের নীচে বহু শিশুকে তিনি এই কফ সিরাপ দিয়েছেন।
চিকিৎসকের আইনজীবী এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত পনের বছর ধরে সর্দি কাশির চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এতে যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে উনি তা জানতেন না।
আদালত প্রবীণ সোনির আইনজীবীর কথায় কান না দিয়ে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
পুলিশের দাবি, ২৯ আগস্ট এই কফ সিরাপ খেয়ে প্রথম চার বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়। ৫ সেপ্টেম্বর একইভাবে মারা যায় তিন বছরের এক কন্যাশিশু। সবার ক্ষেত্রেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ এ বলা হয়, এই ধরনের এফডিসি জাতীয় ওষুধে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশই আছে, চার বছরের নীচে কোন শিশুকে তা দেওয়া যায় না। তা সত্বে এ ধৃত চিকিৎসক কিভাবে তা দিলেন আদালত প্রশ্ন তুলেছে। একে চূড়ান্ত অবহেলা ও নীতি লঙ্ঘন বলে আদালত মনে করে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আরও দাবি, ওষুধ সংস্থার থেকে কমিশন নেওয়ার কথা ধৃত চিকিৎসক স্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। প্রাণঘাতী এই কফ সিরাপ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে মধ্য প্রদেশ সরকার।

Be the first to comment