ইডি নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই দেখা নেই যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। ইডির নোটিশ আসার পর তাঁকে দেখা যায়নি কোনও দলীয় কর্মসূচিতে। এমনকী, বুধবার বেলেঘাটা ৩৩ পল্লীর খুঁটি পুজোয় আসার কথা থাকলেও সেখানেও যাননি যুব তৃণমূলের সভানেত্রী।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় গেলেন অভিনেত্রী? কেন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁর সঙ্গে?
হুগলির বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি প্রসঙ্গে তদন্তে নেমে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে সায়নীকে তলব করেছেন ইডি কর্তারা। তদন্তকারী সংস্থার তরফে শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। এই নোটিশ আসার পর থেকেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না অভিনেত্রী ও তৃণমূল নেত্রী সায়নীর সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, নোটিশের পর থেকে নাকি গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাটেও ফেরেননি তিনি। সায়নী যে বাড়িতে নেই এমটাই দাবি করেছেন তাঁর ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকারও। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁকে নাকি দেখাই যায়নি। দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপেও নিশ্চুপ রয়েছেন নেত্রী বলে জানা গিয়েছে। এই জল্পনার মাঝে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, সায়নী ঘোষ সম্ভবত উলটো রথ উপলক্ষে উপোস করেছিলেন। সারাদিন কোনও কিছু না খাওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন। এটি তাঁর অনুমান।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে যোগ নিয়ে সায়নীকে প্রশ্ন করা হতে পারে বলে খবর। শুক্রবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। সায়নী যদি ইডির কাছে সময় চান, তা হলে সে কথা তাঁকে নিজেকে অথবা তাঁর আইনজীবী মারফত ইডিকে জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি তেমন কিছুও করেননি। ফলে সায়নী শুক্রবার আদৌ হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দে ইডির অফিসাররা।
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার যখন সায়নীকে নোটিশ পাঠানো হয়, তখন তিনি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামে পঞ্চায়েত প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। প্রচারের মাঝেই ইডির নোটিশের বিষয়টি জানতে পারেন। রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচারের ছবিও পোস্ট করেন অভিনেত্রী। বুধবার তাঁর প্রচারসূচি ছিল পূর্ব বর্ধমানে জামালপুর বিধানসভা এলাকায়। কিন্তু নোটিশের বিষয়টি জানাজানি হতেই অদৃশ্য হন তিনি৷ বুধবার পূর্ব বর্ধমানে ভোটের প্রচারেও যাননি৷
Be the first to comment