রোজদিন ডেস্ক : এশিয়ার দেশগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা, উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্ক পুনরুজ্জীবনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় তাঁর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে তথ্যভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এর আগে নিজের দেশেও তিনি সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলেছিলেন। এবার রাষ্ট্র সংঘের সভায় এই বক্তব্য নতুন মাত্রা এনে দিল।
মহম্মদ ইউনুস বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন খুব ই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে সার্ক প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখন একাধিক দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছু অচলাবস্থা চলেছে। তা সত্ত্বেও এর প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো এখনও অটুট। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের কল্যাণের জন্য সার্ক এখনও প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা কে নিয়ে গঠিত সার্ক এক সময় বিশ্বের মানচিত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এক একটি দেশে-এর সম্মেলন ঘিরে উৎসাহ, উদ্দীপনার ঢেউ উঠতো। ২০১৪ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সার্ক ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আর তা হয়নি। খাতায় কলমে অস্তিত্ব থাকলেও এর তেমন কার্যকারিতা নেই। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস মনে করেন, সার্ক পুনরুজ্জীবিত করলে এর কার্যকরিতাও বৃদ্ধি পাবে। ২০১৪ সালের পর অনেক সার্ক ভুক্ত দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক পরিস্থিতি আমূল পালটে গেছে। এই প্রেক্ষিতে ইউনুসের প্রস্তাবে সাড়া মিলবে কিনা তা নিয়ে ওয়াকেবহাল মহলের সংশয় আছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও আগের মত হৃদ্য নেই। তা সত্বেও ইউনুসের এই বক্তব্য ভারত খতিয়ে দেখার সম্ভাবনা আছে।
ইউনুস আরও বলেন, প্রযুক্তি, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা য় বাণিজ্যিক উন্নয়ন এর লক্ষ্যে তাঁর দেশ বে অফ বেংগল ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছে। ভারত, ভুটান, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগে উদ্যোগ নিচ্ছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্র সংঘে ইউনুসের উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ওখানকার বাংলাদেশী বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ইউনুস পাকিস্তানি। তাঁর পাকিস্তানে ফিরে যাওয়াই উচিত। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, অত্যাচার প্রতিরোধে ও ইউনুস সরকার ব্যর্থ। এর প্রতিবাদে তাঁদের অনেকে ওখানে বিক্ষোভও দেখান।

Be the first to comment