রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় ধৃত তৃণমূল ছাত্র নেতার ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত তৃণমূল ছাত্র নেতা পাপন বিশ্বাস জেল হেফাজতে রয়েছে। কলকাতার কসবার ল’ কলেজের ঘটনায় তোলপাড় ফেলা পরিস্থিতির মধ্যে নদিয়ার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে জেলা তৃণমূলেও।পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী ওই তরুণী নদিয়ার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ওই কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পাপন বিশ্বাসের সঙ্গে তার খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই সম্পর্ক তৈরি হতেই তারা একাধিক বন্ধুদের সঙ্গে তারাপীঠে যায়। সেখান থেকে পরের দিন তারা বাড়িতে ফিরে আসে। ১৯ মার্চ রাতে ওই ছাত্রীকে নিজের বাড়ির ঘর থেকে ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পরই তৃণমূল ছাত্র নেতা পাপন বিশ্বাস এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেতার ছেলে পাপন বিশ্বাস কয়েক মাস আগে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিল। তাকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। যে অন্যায় করবে সে তার সাজা পাবে।’ পাপন বিশ্বাসের বাবার দাবি, “আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে মেয়েটির বাড়ির লোকজন।”
অভিযুক্ত পাপন বিশ্বাসকে ধরতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েচে। ১২ দিন আগে পুলিশ পাপন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তাকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় পুলিশ। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। প্রতিদিন হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ও দীর্ঘ সময় ধরে পাপন বিশ্বাসের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কথা হয়েছে। তবে ১৯ মার্চ সকালে পাপন ও ছাত্রীর মধ্যে অল্প সময়ের জন্য কথা হয়। রাতে ওই ছাত্রী ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে।
তদন্তে তৃণমূল ছাত্র নেতার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি পুলিশ পায়নি। তৃণমূল ছাত্র নেতা তথ্য লোপাট করতে তার মোবাইলটি নষ্ট করে ফেলেছে। এর জন্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার বলেন, “অভিযোগ হওয়ার পর তাকে খুঁজে ধরা হয়।”

Be the first to comment