রোজদিন ডেস্ক : চিরাচরিত প্রথায় মহাষ্টমীর সকালে বেলুড়মঠে শেষ হল কুমারী পুজো। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার ভোর থেকেই বেলুড় মঠে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। এবছর মঠে কুমারী হয়েছিল শ্রীণিকা মুখোপাধ্যায়। হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মী জনার্দন ও মৌসুমির একমাত্র কন্যা শ্রীণিকার বয়স ৫ বছর ২ মাস। ৫ থেকে ৬ বছরের ব্রাহ্মণ কন্যাকে বেলুড় মঠে কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ছোট্ট শ্রীণিকাকে এবার ‘উমা’ রূপে পুজো করা হল বেলুড় মঠে। সকাল ৯টায় যাবতীয় রীতি মেনে শুরু হয় পুজো। পুজো শেষ হওয়ার পর মঠের মহারাজরা উমাকে উদ্দেশ্যে করে অঞ্জলি দেন ও প্রণাম করেন। পুজোর পর মঠের তরফে শ্রীণিকার হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর সূচনা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং। সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করা হয়। এরপর থেকেই ফি বছর বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। রীতি মেনে মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত কুমারী পুজো হত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মূল মন্দিরে। ২০০১ সাল থেকে মন্দির লাগোয়া মাঠে কুমারী পুজো শুরু হয়। এদিন বেলুড় মঠে কুমারী পুজো চাক্ষুষ করতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। এই পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ-সহ সন্ন্যাসী ও অন্য মহারাজরা।

Be the first to comment