রোজদিন ডেস্ক : সব আঘাত সহ্য করে RSS শুধু (দেশকে) ভালবাসায় ব্রতী বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল আরএসএসের শতবর্ষ পূরণের আগের দিন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লায়, গত রবিবার মন কি বাত এর পর আজ সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে ফের এই সংগঠনের বন্দনায় মুখর তিনি।
স্বাধীনতার পরের বছর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যায় তোলপাড় উঠে ছিল এই দেশ সহ সারা বিশ্বে। হত্যাকারী নাথুরাম গডসে আরএসএসের সমর্থক হওয়ায় কোপ পড়েছিল সংগঠনেও। মোদির আমলে সদা বন্দিত এই সংগঠনের সম্মানে আজ একশো টাকার একটি মুদ্রার উদবোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মুদ্রার এক দিকে অশোক চক্র, অন্যদিকে ভারতমাতার ছবি। যা দেখে রীতিমত উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। দেশে এই প্রথম কোন মুদ্রায় ভারত মাতার ছবি আছে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে আরএসএস-কে নিয়ে আবেগঘন স্বরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সমাজের মূল স্রোতে মিশে যেতে বাধা পেয়েছিল এই সংগঠন। নিজের মত করে দেশ গঠন করতে বারবার বাধা এসেছে। নাম না করে কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন, কোন অসন্তোষ মনে না রেখে, সব আঘাত সহ্য করে শুধু ভালবাসায় ব্রতী হয়ে সমাজ নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে তারা।

স্বাধীনতার পর প্রথম কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দিকেই এই ইঙ্গিত বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেন।
আরএসএসের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দৃশ্যত আবেগতাড়িত প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন, কিভাবে গত একশো বছর নানা বাধা পেরিয়ে এসেছে এই সংগঠন। এমনকি স্বাধীনতার আগে বিপ্লবীদের কত ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয়ও দিত বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলাই আরএসএসের লক্ষ্য। অকারণে তাদের বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যায় ফেলা হয়েছে। তবু তাঁরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ভাবেননি। সংঘ প্রধান গোলওয়াকারকে মিথ্যা মামলায় (গান্ধী হত্যা) জড়ানো হয়েছিল বলে জানান। প্রয়াত নেতাকে গুরুজি সম্ভাষণ করে মোদি বলেন, কারারুদ্ধ হয়েও উনি কখনো কাউকে দোষারোপ করেননি।
বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে আরএসএসের স্তুতি করছেন, এতে অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা। এর নেপথ্যে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ইচ্ছা আছে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে তাঁরা।
আজ এই অনুষ্ঠানে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবোলেও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি সেখানে ছিলেন।

Be the first to comment