তামিলনাড়ুতে বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩৩

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক : দেশব্যাপী উৎসবের মরসুমে তামিলনাড়ুতে অভিনেতা তথা রাজনৈতিক নেতা বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ৩৩ জন। বেসরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। এই ঘটনায় ওই রাজ্য সহ সারা দেশেই শোকের ছায়া নেমেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরা ও আছে বলে জানা যায়।
কারুরে আজ জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয়-এর টি ভি কে দলের প্রচার সমাবেশ নিয়ে আমজনতার উৎসাহ তুঙ্গে ওঠে। প্রচন্ড ভিড়ের চাপে অনেকে জ্ঞান হারান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিজয় তাঁর বক্তব্য মাঝ পথেই থামিয়ে দেন, অনুগামীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে এম্বুলেন্স আসার পথ করে দেওয়ার কথা বলেন। লাগামছাড়া ভিড়ের চাপে অনেকে পদপিষ্ট হন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে শোক ব্যক্ত করেন।
সূত্রের খবর, রাজনীতি র অঙ্গনে পা রাখা জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় আজ সমাবেশে নাম না করে প্রাক্তন ডি এম কে মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে তীব্র কটাক্ষ করেন। কারুরে একটি বিমানবন্দর করার জন্য যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আগামী বছর তামিলনাড়ু বিধানসভার নির্বাচন। বিজয় জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাজনৈতিক ছবি বদলে যাবে। গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে বিজয়ের এই সব বক্তব্য রাখার সময় ভিড়ের বাঁধ ভেঙে যায়। তাঁকে দেখতে উৎসাহী জনতার প্রচন্ড ভিড় নিয়ন্ত্রণে কালঘাম ছোটে সবারই। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যান, অসুস্থ বোধ করেন।
কোন রকমে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন গভীর উদবেগ ব্যক্ত করেছেন। তিনি অবিলম্বে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। কারুরের এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে সব মহলেই শোকের ছায়া নামে।
মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন জানান, তিনি এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রমনিয়াম, সেন্থিল বালাজি, জেলাশাসক, পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিকটবর্তী তিরুচিরাপল্লী থেকে জরুরি সহায়তা দিতে মন্ত্রী আনবিল মহেশকে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আজ রাতেই কারুর যেতে পারেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় আহত ৫০ জন হাসপাতালে আছেন।
সুত্রের খবর, কি করে এই মর্মান্তিক ঘটনা হল তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।
বিজয় এর এই সমাবেশে লাগামহীন ভিড় হতে পারে তা দল ভাবেনি। পুলিশি ব্যবস্থা কেমন ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ঘটনায় গভীর শোক ব্যক্ত করেন।

বিজয়ের দল টিভিকে-র বক্তব্য, তাঁরা এই সমাবেশে দশ হাজার মত লোক হবে বলে ভেবেছিলেন। সেই মত পুলিশকেও বলা হয়েছিল। এমন জনপ্লাবন তাঁরা ভাবেননি।
বিজেপি এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ডিএমকে-র প্রাক্তন মন্ত্রী সেন্থিল বালাজি রাতে জানান, সালেম, বানামাক্কাল থেকে চিকিৎসকরা এসে আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল রবি, কংগ্রেস শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের শোকগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*