আর কবে অসাম্প্রদায়িক হবে বাংলাদেশ!! প্রশ্ন তসলিমা নাসরিনের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক : মৌলবাদীদের চক্ষুশূল হয়ে দেশ থেকে নির্বাসিত তিনি। স্থায়ী ঠাঁই মেলেনি “ধর্মনিরপেক্ষ” এই দেশেও। পরন্তু বামফ্রন্ট আমলে মৌলবাদীদের রক্তচক্ষুতে রাতারাতি এই রাজ্যও ছাড়তে হয়েছিল এই সাহসী লেখককে। বহু বছর দেশছাড়া হলেও স্বদেশ বাংলাদেশের সব রকম খোঁজ খবরই রাখেন তসলিমা নাসরিন। মাঝে মাঝেই প্রতিক্রিয়াও দেন।

বাংলাদেশের নামী শিল্পী যশ রোহন, এপারের ও পরিচিত নাম। বিজয়া দশমী উপলক্ষে দুর্গা প্রতিমার সামনে নিজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন শুভ বিজয়া! কপালে তিলক আঁকা জনপ্রিয় শিল্পীর সমাজমাধ্যমে এই পোস্ট দেখে রে রে করে উঠেছেন ওই দেশের মৌলবাদীরা। যশ যে হিন্দু, এই কথা না জানায় বহু কুবাক্য বর্ষণ করেছেন তাঁর উদ্দেশ্যে। এমনই হয়েছিল অপর জনপ্রিয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরীরও। তিনিও হিন্দু জেনে ব্যাপক রোষের শিকার হয়েছিলেন মৌলবাদীদের।

এই সব নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন।

সমাজ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ লেখক বলেন, যশ, চঞ্চল চৌধুরীকে যাঁরা ভালবাসতেন, যেই শুনলেন ওঁরা হিন্দু, অমনি সব ভালবাসা উবে গেল না শুধু, যাচ্ছেতাই ভাবে গালিগালাজও শুরু হোল!! এই হল বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক  মুসলমানের চরিত্র!! তসলিমা প্রশ্ন তোলেন, এই সব চরিত্রদের নিয়ে কি করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে!! কারও এই নিয়ে কোন “আইডিয়া” থাকলে জানান বলে তিনি কটাক্ষ করেন।

তিনি যে হিন্দু একথা গোপন করেননি বলে সমাজ মাধ্যমে তাঁর উদ্দেশ্যে আক্রমণকারীদের সবিনয়ে জানিয়েছেন যশ রোহনও। প্রগতিশীল অনেক মুসলিম তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে বলেছেন, শিল্পীর কোন ধর্ম হয় না। অনেকে মৌলবাদী মনোভাবের নিন্দাও করেছেন।

সুদূর প্রবাসে থেকে এই ঘটনায় ব্যথিত, হতাশ তসলিমা নাসরিনও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*