রোজদিন ডেস্ক : লাদাখের সমাজসেবী সোনম ওয়াংচুককে আটক করা নিয়ে তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি জে আংমোকে কেন আগে জানানো হয়নি, কেন্দ্র কে প্রশ্ন করলো শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আজ শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও এন ভি আঞ্জারিয়া কেন্দ্রর কাছে জানতে চান, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে কেন ওয়াংচুককে আটক করা হল? তাঁর স্ত্রী-কে ওঁর সঙ্গে কেন দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তাও জানতে চান তাঁরা। আগামী ১৪ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে।
সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলি জে আংমো কেন উচ্চ আদালতে না গিয়ে শীর্ষ আদালতে হেবিয়াস কর্পাসে আবেদন করলেন তাও জানতে চান বিচারপতি দ্বয়।
সোনমের স্ত্রী-র আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন, কোন উচ্চ আদালতে যাবেন উনি? কেন্দ্রই তো গ্রেফতার করেছে ওয়াংচুককে। এমনকি ওঁর সঙ্গে স্ত্রীকে দেখাও করতে দিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কেন্দ্রর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই সব অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ওয়াংচুককে আটকের কথা ওঁর ভাইকে জানানো হয়েছিল। ১২ জনকে ওঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলেন, ওঁর স্ত্রী-কে তা কেন জানানো হয়নি?
কেন্দ্রর পক্ষে দাবি করা হয়, এই সবই সস্তা প্রচারের জন্য বলা হচ্ছে। শীর্ষ আদালত তখন এই নিয়ে কেন্দ্রর আইনজীবীকে সতর্ক করেন।
ওয়াংচুকের স্ত্রীর অভিযোগ, গত সপ্তাহে তিনি যোধপুরে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁকে তা করতে দেওয়া হয়নি।
হাই প্রোফাইল এই মামলা শীর্ষ আদালত যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তা আজ স্পষ্ট হয়ে যায়। দুই বিচারপতি ওয়াংচুককে প্রয়োজনীয় ওষুধ, জামাকাপড়, চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী-সহ অন্যদের দেখা করতে দেওয়ার কথা বলেছেন। কিসের ভিত্তিতে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে, কেন্দ্রর কাছে তার ব্যাখ্যাও চেয়েছেন। এই বিষয়ে জম্মু কাশ্মীর, রাজস্থানকেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাদাখ কে রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে ২৪ সেপ্টেম্বরের প্রবল জন বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ২৬ সেপ্টেম্বর ওয়াংচুককে গ্রেফতার করে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Be the first to comment